শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

আজও বিলুপ্ত হয়নি কৃতদাসী প্রথা -ধর্ষন হচ্ছে শিশু কৃতদাসীরা

জিটিবি নিউজঃ আইএস অধ্যুষিত অঞ্চলে যৌন ক্রীতদাসীদের কথা কারও অজানা নয়। হাটে-বাজারে জিনিসপত্রের মত কেনা-বেচা করা হয় নারীদের। করা হয় দর-দাম। তবে এবার সামনে উঠে এক শিউরে ওঠার মত খবর। জার্মানির এক চিকিৎসক জানালেন ইসলামিক স্টেটের এই যৌন ক্রীতদাসী প্রথা আসলে কতটা নারকীয়।

জার্মানির বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক ড. জান কিজিলন জানিয়েছেন, এক আট বছরের মেয়েকে আট মাসের মধ্যে ১০ বার বিক্রি করেছে আইএস জঙ্গিরা। আট মাসের মধ্যে প্রত্যেকদিন তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কয়েক’শ বার তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। জার্মানির ইউনিভার্সিটিতে ‘ইন্সটিটিউট অফ সাইকোথেরাপি অ্যান্ড সাইকোট্রমাটোলজি’র ডিন এই চিকিত্‍সক।

ইয়াজিদি মহিলা নাদিয়া মুরাদ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন এই সেক্স ট্রেডের বিষয়টা। তাঁকে উদ্ধার করার পর জানা গিয়েছিল, কীভাবে ইয়াজিদি নারীদের ব্যবহার করা হয়, সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১৪ তে ৭০০০ নারীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা। জার্মানির একটি ক্যাম্পে উদ্ধার হওয়া নারীদের মানসিক চিকিত্সা করেন ওই চিকিত্সক।

২০১৪ তে ইয়াজিদি নারীদের সিঞ্জর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা। এরপর তাদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করা হয়। ইয়াজিদিরা শয়তানের পুজো করে বলে বিশ্বাস আইএস জঙ্গিদের, কারণ তারা একটি ময়ূরের মূর্তিতে প্রার্থনা করে।

মোসুল থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে এই সিঞ্জর টাউন। উত্তর ইরাকের বাসিন্দা এই ইয়াজিদিরা এক বড়সড় অ-মুসলিম সম্প্রদায়। ইতিহাসের বহুবার ইয়াজিদিদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা হয়েছিল। এর আগে এখলাস নামে আর এক ইয়াজিদি কিশোরী জানিয়েছিল তাঁর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাকে বিক্রি হতে হয়েছিল জঙ্গিদের হাতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com